কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলে বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে প্লাবিত হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক বসত ঘর। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এইচ সালেহী বলেন, গতকাল সকালেও কলাপাড়ার আন্ধারমানিক, টিয়াখালী, খাপড়াভাঙ্গা ও রাবনাবাদ নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে দেবপুর, চাড়িপাড়া ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এই কর্মকর্তার হিসাব অনুযায়ী ইয়াসের তান্ডবে প্রায় এক কিলোমিটার বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া খাপড়াভাঙ্গা নদীর জলোচ্ছাসে মৎস্যবন্দর আলীপুর, মহিপুরের শতাধিক মৎস্য আড়তসহ সরকারি বিভিন্ন অফিস জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাবনাবাদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালুয়া ও চম্পাপুরের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ উঁচু বাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। এই মানুষগুলো গতকাল রাতের জোয়ারেও প্লাবিত হয়। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন,ইয়াসের ঝড়ো বাতাস ও জলোচ্ছাসে কলাপাড়ায় ৭৩টি গ্রামের ১৪ হাজার ৭১০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ভেসে গেছে ৪২৭টি মাছের ঘের এবং এক হাজার ৯২০টি পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন কোটি তিন লাখ টাকা। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে কুয়াকাটা সৈকতের ব্লক পয়েন্টেরর নিচ খেকে থেকে প্রায় পাঁচ ফুট মূল বাঁধের রিভার সাইড ভেঙ্গে গেছে। সাগরের ঢেউয়ের জোয়ারের তান্ডবে সরে গেছে সৈকত রক্ষার কয়েকটি ব্লক। প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে সৈকতের প্রায় দেড় ফুট বালুক্ষয় হওয়ায় লেম্বুর বন, গঙ্গামতি ও কুয়াকাটা ইকোপার্ক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ। এ ছাড়া সৈকতে গড়ে ওঠা ঝিনুক,শুটকি ও ফ্রাই মার্কেটটি আজকের জোয়ারেও ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
Leave a Reply